ক্যামিকেল মুক্ত হাতে বানানো আখের চিনি খান, সুস্থ থাকুন।
আমরা দিচ্ছি শতভাগ কেমিক্যাল মুক্ত এবং সম্পুর্ণ হাতে তৈরী ময়মনসিংহ-ফুলবাড়িয়ার ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী আখের লাল চিনি বা ব্রাউন সুগার।গ্রামীণ পদ্ধতিতে আখের রস জ্বাল করে কোন প্রকার কেমিক্যাল ব্যাবহার করা ছাড়াই সম্পূর্ণ হাতে তৈরি করা হয় এই চিনি,তাই আমরা দিচ্ছি পুষ্টিগুনের শতভাগ নিশ্চয়তা এবং শিশু খাদ্য হিসেবে এই চিনি ব্যাবহার করার নিশ্চয়তা।
প্রিমিয়াম গ্রেডের আখের চিনি প্রতি কেজি
মাত্র ৩৫০ টাকায়।
চিনির অজানা তথ্য
আখ চাষ ও আখের রস থেকে চিনির উৎপাদন শুরু হয়েছে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে। বিশ্বের প্রধান আখ ও আখের চিনি উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, গুয়াতেমালা ও বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে আখ ও আখের লাল চিনি বা ব্রাউন সুগার উৎপাদনের রয়েছে প্রজন্ম পরম্পরায় দীর্ঘ ২০০ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ভৌগলিক অবস্থার, গড় তাপমাত্রা, প্রবল রোদ এবং ভারী মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্চ, পাবনা, ফরিদপুর, যশোর অঞ্চলে বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত আখ ও আখের চিনি বা লাল চিনির ৫০% থেকে ৬০% উৎপাদিত হয়ে থাকে।
লাল চিনি কী
চিনি বললে আমরা সাধারণ ভাবে দানাদার সাদা চিনিকে বুঝি। তবে বাজারে দুই ধরনের চিনি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। এক, দানাদার সাদা চিনি আর দুই, লালচে বর্ণের সাদা চিনি। নরমাল সাদা চিনি থেকে এই চিনির দানা তুলনামূলক বড় হয়। এই দুই ধরণের চিনিই ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়। যা রিফাইন সুগার।
আখের চিনি বা লাল চিনি, আখ মাড়াই থেকে প্রাপ্ত রস কৃষকের জ্বালা ঘরে নিদৃষ্ট তাপমাত্রায় জ্বাল দিয়ে, হাইড্রোজ, বোন চারকোল ও সকল প্রকার কেমিক্যাল মিশ্রণ ছাড়াই পাউডার আকারে তৈরি হয়। এই চিনিকে লোকালি লাল চিনি বলা হয়। কিন্তু বিশ্ব বাজারে এই চিনিই ব্রাউন্ড সুগার নামে পরিচিত। এই চিনিতে আখের সকল খাদ্যগুণ ও উপকারী সকল পুষ্টি উপাদান থাকে অটুট।
পাঁচ ধাপে কৃষকের হাতে তৈরি হয় পুষ্টিকর আখের চিনি
বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে কৃষকের জ্বালা ঘরে আমাদের নিবিড় তত্ত্বাবধায়নে আখের রস জ্বাল দিয়ে কৃষকের হাতে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের আখের চিনি। জেনে অবাক হবেন, প্রায় ১০ থেকে ১২ লিটার আখের রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় ১ কেজি আখের চিনি। হাতে তৈরি হয় বলে কমার্শিয়ালি বিপুল পরিমাণ প্রোডাক্শন করা সম্ভব হয় না। তাই প্রতি ব্যাচে চাহিদা অনুযায়ী প্রোডাক্শন করে থাকি।
পুষ্টিগুনে ভরপুর লাল চিনি, আপনার পরিবারের সুস্বাস্থ্যের সঙ্গী
হাতে তৈরি পুষ্টিগুনে ভরপুর আখের চিনি আপনার সুস্বাস্থ্যের সঙ্গী। দানাদার সাদা চিনির বা রিফাইন সুগারের বিকল্প। লাল চিনি আখের রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় বলে আখের সব উপাদান এই চিনিতে বিদ্যমান থাকে।
- হাতে বানানো আখের চিনি হৃদযন্ত্রে চর্বি জমার প্রবণতা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
- এই চিনির ক্যালসিয়াম প্রাচুর্যতা হাড় ও দাতের ক্ষয় রোধ করে।
- এর অ্যাটিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করে ও লিভার সুস্থ রাখে।
- জন্ডিস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমায়।
- এই চিনিতে থাকা অ্যালকেলাইন প্রপাটিজ গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমায়।
- পিঠা, পায়েশ, ফিন্নি রান্নায় যোগ করবে বাড়তি স্বাদ।
পুষ্টিগুনের শতভাগ গ্যারান্টি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাইন্স ল্যার্বোটারিতে পরীক্ষিত। তাই আমরা পুষ্টিগুনের শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে থাকি।
আপনার মিষ্টি আয়োজনে, লাল চিনি পুষ্টিগুনে
গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে প্রাচীন কাল থেকে মিষ্টি সব আয়োজনে ব্যবহার হচ্ছে হাতে তৈরি আখের চিনি। বিভিন্ন ধরণের মিষ্টান্ন, পিঠা-পুলি, পায়েস, খির, সেমাই, হালুয়া, পুডিং, কেক, শরবত, তৈরিতে ব্যবহার করুণ সুস্বাদু আখের চিনি। আখের চিনি আপনার তৈরি মিষ্টি খাবারের স্বাদ বাড়াবে আর যোগ করবে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সকল পুষ্টি উপাদান।
স্যালাইনের বিকল্প
আখের চিনি দিয়ে ঘরে বসেই তৈরি করুণ আর পান করুণ আখের চিনির শরবত। যা আপনার দেহের পানি শূন্যতা পূরণ করে আপনাকে দেবে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি।
দুধের স্বাদ বাড়ায় দ্বিগুণ
দুধের সাথে অথবা দুধ-ভাতের সাথে আখের চিনি মিশিয়ে খাওয়া অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। যেসকল বাচ্চারা দুধ ক্ষেতে চায় না কিন্তু হরলিক্স জাতিয় খাবার খায়, তাদেরকে দুধের সাথে ২/৩ চামচ আখের চিনি মিশিয়ে খাওয়াবেন, দেখবেন প্রতিদিন তারা দুধ খাবে এবং সুস্বাস্থ্যের অধীকারী হয়ে উঠবে।
সুস্থতার প্রতিশ্রুতি, হাতে বানানো আখের চিনি!
তাই এখনই অর্ডার করুণ বিশ্বমানের হাতে বানানো আখের চিনি।